শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উলজেলার ৩ নং চর এককরিয়া ইউনিয়নের চরলতা গ্রামের অসহায় মোঃ আক্কাছ আলীর মেয়ে সীমা বেগম (১৪) গত ৬ মাস পূর্বে জুয়েল শাহ, পিতা: তোফাজ্জেল হোসেন হিরু শাহ ৫ নং সদর ইউনিয়নের চরহোগলা গ্রামের বাড়িতে কাজের ভূয়া হিসেবে যোগদান করেন।
কাজে যোগদানের কয়েকদিন পরেই জুয়েল শাহ সীমা (১৪) কে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। কিন্তু সীমা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগ বুঝে সীমাকে বাসার রুমের মধ্যে আটকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এরপর প্রতিনিয়ত সীমা’কে ব্লাক মেইল করে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধীকবার অবৈধ সম্পর্ক তথা শারিরীক সম্পর্ক করেন। এরই ফলশ্রুতিতে সীমা জানুয়ারী মাসে গর্ভে সন্তান চলে আসে।
কিন্তু সীমা কিশোরী থাকার কারনে বুঝতে পারে নাই সে গর্ভবতি হয়ে গেছে। গর্ভাস্থায় বেশ কয়েকবার জুয়েল শাহ সীমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেন। গর্ভে সন্তান আসার পর নানা রকম শারিরীক অসুস্থ্যতার জের ধরে জুয়েল শাহ’র স্ত্রী মোসাঃ লীয়া’র কাছে ঘটনা খুলে বলেন। তখন জুয়েল শাহ’র স্ত্রী লীয়া সীমা কে বলেন, তোর কিচ্ছু হয় নি, এসব এমনি, তোর গায়ে কুবাতাস লাগছে। এভাবে চলতে থাকে ৩ মাস, যখন ধীরে ধীরে সীমা বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, তখন জুয়েল শাহ বিষয়টি বুঝতে পেরে, সীমাকে সরাসরি বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনী ওয়ার্ডে নিয়ে যান।
সেখানের ডাক্তার ও নার্স এ অবস্থা বাচ্চা নষ্ট করার পরামর্শ দিলে জুয়েল শাহ তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে এক নার্স ও আয়াকে দিয়ে ৬ মাসের মেয়ে বাচ্চা প্রসব করান। যখন মেয়ে বাচ্চা পৃথিবীর আলো বাতাস দেখলো এবং কান্না করে উঠলো, তখন জুয়েল শাহ ও জুয়েল শাহ’র স্ত্রী লীয়া পাষন্ডের মত নবজাতক মেয়েকে মা’য়ের সামনে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন।
এরই মধ্যে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জুয়েল শাহ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এলাকার আমজনতার মাঝে আলোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এভাবে একটি নবজাতককে জন্মের সাথে সাথে হত্যা ও একটি শিশু মেয়েকে ধর্ষন করে জুয়েল শাহ কোন ক্ষ্যান্ত হোননি, তিনি এলাকায় এখনো দাপটের সহিত অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং সিমার পরিবারের সদস্যদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা করা থেকে বিরত রেখেছেন।
Leave a Reply